Empresario 17 জিতল বেঙ্গালুরুর FreeSpace
Wednesday February 08, 2017,
2 min Read
আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র সংগঠন ইসেলের ছাত্ররাই আয়োজন করেন সেরা স্টার্টআপ বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা। এবছর হয়ে গেল এমপ্রেসোরিও ২০১৭। আড়াই হাজারের বেশি স্টার্টআপ এতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে স্টার্টআপ সংস্থাগুলি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেমিফাইনালে যায় ১১০ টি সংস্থা। কড়া বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মূল পর্বে ১৮টি সংস্থাকে নির্বাচিত করা হয় প্রোডাক্ট অ্যান্ড সার্ভিস ট্র্যাক বিভাগে। ১০ টি সংস্থা ফাইনালে ওঠে সামাজিক উদ্যোগ বিভাগে। ৫ টি সংস্থা জায়গা পায় আইবিএম ট্র্যাকে। এই তিনটি বিভাগে মোট আটটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিজয়ী হিসেবে। মোট পুরস্কার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।
প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস এই বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ফ্রি স্পেস টেকনোলজিস। এদের কাজের ক্ষেত্র গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। মূলত বিজনেস টু বিজনেস পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থা। পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে অঙ্কিত আগরওয়াল এবং করণ রাস্তোগির সংস্থা হেল্পআসগ্রিন। গঙ্গায় যে ফুল পড়ে, পুজোর ফুল, সেগুলো থেকে সম্ভাব্য দূষণ প্রতিরোধ করে সেই ফুলকে পুনর্ব্যবহার করার উদ্যোগটি চালান এই দুই বন্ধু। ব্যবহৃত বর্জ্য ফুল থেকে তৈরি হয় ধূপ, আবীর এবং নানান সুগন্ধি দ্রব্য। এক কাজে দু-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে এই সংস্থা। এছাড়া, আইবিএম ট্র্যাকে সেরা অ্যাপের তকমা পেয়েছে ট্র্যাশ লগ এবং ক্লিক থ্রু। বিচারকদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের একজন জারভিস অ্যাক্সেলেরেটরের কো প্রিন্সিপাল সৌম্যজিত গুহ বললেন, এই প্রতিযোগিতায় যারা শেষ পর্বে পিচ করেছেন তাদের অধিকাংশই বিনিয়োগ যোগ্য স্টার্টআপ। উদ্ভাবনের দিক থেকে অধিকাংশই অভিনব। শাহানি গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অখিল শাহানির মতে বিনিয়োগ কিংবা উদ্ভাবন ছাড়াও আরও একটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। এই প্রতিযোগিতার মূল পর্বে সবকটি স্টার্টআপেরই একটি নিজস্ব বাজার আছে এবং বাজারের চাহিদা মেটানোর সামর্থ্যও রাখে এই নবগঠিত সংস্থাগুলি। আই আইটি খড়গপুরের ইসেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যে মাস্টারমশাই তিনি ডক্টর পি কে দাঁ। রাজেন্দ্র মিশ্র স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। তিনি বলছিলেন গত কয়েক মাস রাতদিন এক করে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই প্রতিযোগিতাকে বাস্তবায়িত করেছে ছাত্রছাত্রীদের এই আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ সেল। তিনিই জানালেন উদ্যোগের হাতেখড়ি দিতে আইআইটি খড়গপুরে এই ই-সেল প্রতিবছরই নানান কর্মসূচির আয়োজন করে। সারা বছর ওয়ার্কশপ সেমিনার ছোটো ছোটো উদ্যোগ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত থাকে ইসেল। শুধু শিক্ষাই নয় ইসেল চায় হাতে কলমে কাজ করে উদ্যোগের দুনিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হোক তাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। আর সেই লক্ষ্যেই সারা বছরই চনমন করছে খড়গপুর আই আই টি।