Train18! বুলেট ট্রেন! আর কী থাকতে পারে রেল বাজেটে?

Train18! বুলেট ট্রেন! আর কী থাকতে পারে রেল বাজেটে?

Tuesday January 30, 2018,

3 min Read

গত বছর থেকেই বাজেট মানে দুটো মন্ত্রকের দুটো বাজেট একই সঙ্গে ঘোষিত হচ্ছে। এবারও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পেশ করবেন রেল বাজেট। সব থেকে আলোচিত বুলেট ট্রেনের দিকে চোখ তো থাকবেই পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেন ১৮-র দিকেও।

image


এবারের রেল বাজেটে সার্বিকভাবে নজর থাকবে যাত্রী সুরক্ষা, পরিষেবা আর আধুনিকীকরণে। ভারতীয় রেলের সামগ্রিক সিগন্যালিং সিস্টেমকে আধুনিক করে তোলার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হতে পারে। খরচ পড়বে ৭৮ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া ৫০,০০০ কোটি টাকার খরচ হওয়ার কথা মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর রেল ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের কাজে। উল্লেখ্য, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র দুটি রাজ্যের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে বিধানসভা নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই এই দুই রাজ্যে জোর দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পাশাপাশি এবছরের রেল বাজেটে আন্তর্জাতিক মানের রেল পরিষেবা তৈরির সংকল্প নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে আইসিএফ চেন্নাইয়ে তৈরি হচ্ছে দুটি ট্রেন সেট। ট্রেন ১৮ এবং ট্রেন ২০। আন্তর্জাতিক মানের সেমি হাই স্পিড এই দু'জোড়া ইএমইউ ট্রেন, বাজেটে জায়গা করে নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেই রেডি হয়ে যাবে ট্রেন ১৮। এবং ট্রেন ২০ তৈরি হবে ২০২০ সালে। ট্রেন ১৮ হবে সম্পূর্ণ ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার ধরণের। অনেকটা ইউরো রেলের আদলে তৈরি হচ্ছে এই ট্রেন। সর্বাধিক গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। আর ট্রেন ২০ হবে স্লিপার ক্লাস ধরণের। ট্রেন ১৮ শতাব্দি এক্সপ্রেসের যাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং পাশাপাশি ট্রেন ২০ রাজধানী এক্সপ‌্রেসের অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে। দেশে তৈরি হওয়ার ফলে বিদেশ থেকে আনানোর তুলনায় এই ধরণের ট্রেন তৈরির খরচও অর্ধেক লাগছে বলে জানিয়েছেন আইসিএফ চেন্নাইয়ের পদস্থ কর্তারা।

ট্রেন ১৮-য় যা থাকছে

১. যাত্রা পথেই ইনফোটেইনমেন্ট

২. হাইস্পিড ইন্টারনেট এবং ওয়াইফাইয়ের সুবিধে

৩. অটোমেটিক প্লাগ ডোর

৪. ট্রেনে অন্দর সাজে থাকবে বিলাশের ছোঁয়া, হালকা আলো, আরামদায়ক চেয়ার,

৫. সুদৃশ আধুনিক টয়লেট, যা হবে জিরো ডিসচার্জ ভ্যাকিউম বায়ো টয়লেট। ফলে অপিরচ্ছন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না।

৬. ব্যবহৃত হয়েছে এমন প্রযুক্তি যার ফলে ঝাঁকুনিহীন যাত্রার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে

৭. ট্রেনের কাঠামো তৈরি হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে।

৮. জিপিএস নির্ভর প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম থাকছে

৯. দুটি সিটের মাঝখানে ওঠা বসার জায়গাটা প্রসস্ত হবে।

১০. সবথেকে আকর্ষক হবে এর লম্বা চওড়া প্রসস্ত জানালা।

এর পাশাপাশি ১৩ হাজার ওয়াগন, ৬০০টি লোকোমোটিভ, ৫ হাজার প্যাসেঞ্জার কোচ সংযুক্ত করারও পরিকল্পনা আছে এবছরের বাজেটে। অন্যান্য ট্রেনগুলির গতি বাড়ানো নিয়েও প্রস্তাব থাকতে পারে এই বাজেটে। গতবছরে রেল বাজেটে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে ১৫ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। সুরক্ষা রক্ষণাবেক্ষণে ২ লক্ষ কর্মী নিয়োগের কথাও বলা হয়।

এবারের বাজেটে ৪ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, এবছরের বাজেটে যাত্রী সাচ্ছন্দে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে বসানো হতে পারে এসকেলেটর ও লিফট।

এর পাশাপাশি রেল ট্র্যাক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে রেল। তাহলে রেল লাইন ট্র্যাক করা ও সংযোগ স্থাপন আরও ভালো করা যাবে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।