মেয়ের সাফল্যেই ডাক এসেছে দিল্লি থেকে। গর্বে ডগমগ নলহাটির কোনাই পরিবার এবার সদলবলে যাচ্ছে রাজধানী। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক রীতিমত নিমন্ত্রণ করেছে প্রভাশ্রীকে। ১০ ডিসেম্বর মেয়ের সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছেন ওরা।
বীরভূমের নলহাটির দাস পাড়ার ছোট্ট মেয়ে এখন সেলিব্রিটি। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের রাজ্যস্তরের অঙ্কন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে দশ বছরের ওই ক্ষুদে পড়ুয়া। বিদ্যুতের অপচয় রুখতে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ৬ নভেম্বর কলকাতার দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অফিস বিল্ডিংয়ে এই প্রতিযোগিতার আসর বসে। ৩৬ টি রাজ্যের ১লক্ষ ৩৬ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে জি এস এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ফোরের প্রভা। বাবা শ্রীকান্ত কোনাই ওই স্কুলেরই শিক্ষক। প্রভাকে আঁকা শেখান স্থানীয় শিল্পী কাজিলাল সিদ্দিকি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব কর। সবাই আনন্দে আত্মহারা। ১২ ডিসেম্বর জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা হবে দিল্লীতে। সেখানেও গ্রামের মেয়েই সাফল্য পাবে বলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে নলহাটি। এই ক্ষুদে শিল্পীর জয়ে গর্বিত জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষও।
ওর গ্রুপে আঁকার বিষয় ছিল- ‘ছিদ্র তোমার ভবিষ্যত অন্ধকার করবে’ এবং ‘শক্তি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ প্রভাশ্রী ‘এল ই ডি’ লাইটের ব্যবহার এবং বিদ্যুত সঞ্চয়ের উপর ছবি এঁকে বিচারকদের মন জয় করে। এরপর রাজ্য স্তরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধীকারীরা ১২ ডিসেম্বর দিল্লীতে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রতিটি রাজ্য পিছু বিজেতারা ৭০ হাজার টাকা পাবে।
আর প্রভার বাবা বলছেন, “বহুদিন থেকে দিল্লি বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু দেশের রাজধানীটাই দেখার সুযোগ পাইনি। মেয়ের দৌলতে সেই ইচ্ছা পূরণ হবে।”