ভারত এবং বাংলাদেশ। ইতিহাস, ভূগোল, কূটনীতি, রাজনীতির বাইরেও দুটি দেশ যেন কাজি নজরুলের উপমার মতো একটি বৃন্তে দুটি কুসুম। গায়ে গা লাগিয়ে দৌড়চ্ছে উন্নয়নের অনন্য যাত্রায়। ভারত আয়তনে বড়। অর্থনীতির বিভিন্ন প্যারামিটারেও সে এগিয়ে আছে আর বাংলাদেশ এগোচ্ছে তাঁর হার না মানা আত্মবিশ্বাসে ভর করে। বাংলাদেশের উদ্যোগপতিদের কৃতকৌশল, উৎকর্ষতা গোটা দুনিয়াকে তাজ্জব করে দিয়েছে। ভারতের বাজারেও বাংলাদেশের পণ্য রীতিমত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় ছড়িয়ে পড়ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাজার দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশি পণ্যের চাপে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় কিংবা বহুজাতিক পণ্যের ব্র্যান্ড। বাংলার বাঘের থাবা পড়ছে উপমহাদেশের গোটা পূর্বাঞ্চলে। স্টার্টআপ সংস্থাগুলোও দারুণ তরতাজা। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। খেটে খাওয়া গ্রামের কৃষকের ছেলে ঢাকায় পড়তে এসে এক চিলতে রোদ্দুর দেখে ফেলেছে। গান কবিতা অভিনয় নৃত্যের ফাঁকে ফাঁকে গোটা দুনিয়াকে ছোঁয়ার ইচ্ছেটা উঁকি দিয়েছে। খুলে ফেলেছেন ফ্যাশন স্টার্টআপ। আবার আরেক মিঞা সাহেব বৌ বাচ্চা জমি জমা বিষয় সম্পত্তি সব নোয়াখালীতে ফেলে রেখে থাইল্যান্ডে রান্নার কাজ করতে গিয়েছিলেন। মুখে রক্ত-তুলে কাজ করেছেন। টাকা জমিয়েছেন। ফিরে এসে খুলে ফেলেছেন রেস্তরাঁ। এরকম আরও অনেক অনেক কাহিনির ঝাঁপি নিয়ে আমরা এবার নিয়মিত আসব। কারণ বাংলা ইওর স্টোরি সম্প্রতি বাংলাদেশের সংস্থা Founded in Bangladesh এর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ গাঁটছড়া বেঁধেছে। ফাউন্ডেড ইন বাংলাদেশের কর্ণধার মহম্মদ এয়ারতেজা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম দ্রুত পরিণত হয়ে উঠছে। ভারতের স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার তাগিদ রয়েছে বাংলাদেশের তরফে। তাই এই গাঁটছড়ায় সম্ভাবনা দেখছেন এয়ারতেজা। বাংলা ইওরস্টোরির ডেপুটি এডিটর হিন্দোল গোস্বামীও জানান, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর এই বাতাবরণ তৈরি হলে শুধু বাংলাদেশের নয় ভারতের পূর্বাঞ্চলেরও অনেক উপকার হবে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার সাদা পায়রা উড়বে কাঁটাতারকে টপকেই। দ্বিপাক্ষিক অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ককেও আরও মজবুত করবে এই উদ্যোগ।