শহরের বিয়ারে নতুন চমক মাইক্রোব্রিউয়ারি ‘কান্ট্রি রোডস’
ক্যান অথবা বোতলবন্দি বিয়ারে অভ্যস্থ কলকাতা। বড়জোর গ্লাসে ঢেলে নেওয়া যেতে পারে। তার বেশি আর কীই বা হতে পারে? যদি বলি বিয়ারেও ভেলকি দেখাবে শহর কলকাতা! কারণ আপনার বিয়ার পানের অভিজ্ঞতা বদলে দিতে চলেছে ‘কান্ট্রি রোডস’। এবার এই শহরে বসেই উপভোগ করতে পারবেন ব্রিউয়ারিতে তৎক্ষণাৎ তৈরি চিলড বিয়ার পানের আনন্দ। বিয়ার যারা ভালোবাসেন তাঁদের এই আনন্দ দিতে রাজারহাট-নিউটাউনে খুলল মাইক্রোব্রিউয়ারি ‘কান্ট্রি রোডস’।
প্ল্যানটা ছিল ৬ বন্ধুর। শশীকান্ত সিনহা, অমিতাভ বাগচি, রাজু শর্মা, অরুণাভ রায়, রাজেশ বুদুয়ার এবং অমিতাভ চক্রবর্তী। ৬ জনই সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী। ছয় মালিকই নব উদ্যোক্তা। প্রায় দেড় দশক সবাই দেশে বিদেশে নানা চাকরি করেছেন। কিন্তু প্রত্যেকেরই নিজেদের একটা কিছু করার প্ল্যান ছিল। খানিকটা টাকা জমতেই আর দেরি করলেন না। গতবছর রাজ্য আবগারি দফতরে আবেদন করে ‘কান্ট্রি রোডস’। লাইসেন্স পাওয়ার পর নিজেদের সঞ্চিত অর্থ থেকে চার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে খুলে ফেললেন মাইক্রোব্রিউয়ারি। ‘কান্ট্রি রোডস’ দেশের ১০৭ নম্বর মাইক্রোব্রিউযারি। কিন্তু সব ছেড়ে মাইক্রোব্রিউয়ারি কেন?
‘’কান্ট্রি রোডস’এর অন্যতম ডিরেক্ট এবং এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা অমিতাভ চক্রবর্তীর কথায়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শহরে চাকরি করেছি, ঘুরেছি। পুনে, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে মাইক্রোব্রিউয়ারির জনপ্রিয়তা দেখেছি। কলকাতাতেও এখন বিয়ার পানের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বিয়ারেই ঝোঁক বেশি। সেই দিকটা মাথায় রেখে বিয়ারে নতুন স্বাদ আনতে আমাদের এই উদ্যোগ। পুনেতে প্রথম মাইক্রোব্রিউয়ারি হয়। পূর্ব ভারতে এই প্রথম। সফল হলে কলকাতাতেই আরও কয়েকটি মাইক্রোব্রিউয়ারি করার কথা মাথায় আছে’।
মাইক্রোব্রিউয়ারিতে বসানো রয়েছে ৬টি ফার্মান্টেশন ও ৩টি স্টোরেজ চৌবাচ্চা। মাসে প্রায় ১০ হাজার লিটার বিয়ার তৈরি হতে পারে। সংস্থার আরেক ডিরেক্টর শশীকান্ত সিনহা জানান, ‘আপাতত তিনটি ফ্লেভারে বিয়ার পাওয়া যাবে-জার্মান ভাইজেন, স্কটিশ এল এবং বেলজিয়ান ব্লঁদ। আমরা ক্রেতাদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করছি। কারণ তেমন চাহিদা থাকলে প্রতি ১৫ দিন অন্তর নতুন ফ্লেভারের বিয়ার আনা সম্ভব’।
নয়া ছয় উদ্যোক্তার দাবি, বাজারে চলতি বিয়ারের তুলনায় তাদের মাইক্রোব্রিউয়ারিতে তৈরি হওয়া বিয়ারে গ্লিসারিন নেই। অ্যালকোহলের অনুপাতও অনেক কম। ফলে এই বিয়ার পান করে শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই বললেই চলে। সংস্থার দাবি, বাজারে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের বিয়ারের তুলনায় কান্ট্রি রোডসের বিয়ারের দাম কম, অথচ গুণমান এক।
পানের সঙ্গে ভোজনের আয়োজনেও খাসা কান্ট্রি রোডস। নর্থ ইন্ডিয়ান,চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল সব ধরনের লোভনীয় খাবার মিলবে এখানে। সোম থেকে শনি ১২-৬টা হ্যাপি আওয়ার। সেই সময়ে খাবারে এবং পানীয়ের দামে ছাড় থাকে। তাহলে আর দেরি কেন? নতুন স্বাদ চেখে আসুন জলদি।