৬টা অ্যাপস বানিয়ে চমকে দিল নবম শ্রেনির অভীক
কথায় আছে ছোটো মুখে নাকি বড় কথা সাজে না। কিন্তু কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হয়ে দেখিয়ে দিল এই কাহিনির ছোট্ট নায়ক অভীক সাহা। অনায়াসে করে ফেলেছে পেল্লাই বড় কাজ। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকেই বানিয়ে ফেলেছে ছ-ছটি মোবাইল অ্যাপস। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের চালসার এই কিশোর সবে নবম শ্রেণির ছাত্র। ছ'টির মধ্যে চারটি অ্যাপস গুগল ইতিমধ্যেই রেজিস্টার করেছে। এমনকি গুগলের পক্ষ থেকে অভীককে চিঠি পাঠিয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেনীতে পড়া এই কিশোরের কৃতিত্বে পরিবার থেকে প্রতিবেশি সকলেই খুশি।
অভীকের মা শেফালি সাহা একজন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষিকা । বাবা অলোক সাহা একজন ব্যাবসায়ী। অভীক বরাবর মেধাবী। সব বিষয়েই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে সব থেকে বেশি নম্বর পেয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় পড়াশুনার পাশাপাশি গবেষনা করতেও ব্যস্ত থাকে অভীক। গতে বাধা জীবন কখনই পছন্দ ছিল না। সব সময়ই অন্যরকম ভাবতে চাইত। আর ভাবনার রসদেরও অভাব হয়নি।
২০১৩ সালে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে অভীক জানতে পারে যে চেন্নাইয়ের দুই ভাই সার্বান কুমার (১৫) ও সঞ্জয় কুমার (১৩) তারা একত্রে অ্যাপস তৈরি করেছে। সেটাই ওকে অনুপ্রেরনা দেয়। সেও পড়াশুনার ফাঁকে কম্পিউটারে বসে নিজের চেষ্টায় তৈরি করে ফেলে মোবাইল অ্যাপস। অভীক তৈরি করেছে আই লার্ন, আরনাভিক ওয়েবসাইট বিল্ড, বার্ডিঙ্গগো, এবং এ টু জেড প্ল্যানেট। দিন কয়েকের মধ্যে অভীক নতুন অ্যাপস আপলোড করতে চলেছে। ম্যাথ প্লাস প্লাস নামের এই অ্যাপস গণিতের যেকোনও জটিল সমস্যা সহজে বাতলে দেবে। ভবিষ্যতে অভীক কৃষি, আবহাওয়া, এসব নিয়েও অ্যাপস তৈরি করার জন্য জোর গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে ।
আগামী দিনে আরও বড় কিছু করার ভাবনা রয়েছে অভীকের। এই বয়সেই যে মোবাইল অ্যাপস বানাচ্ছে সে যে আরও বড় পরিকল্পনা করবেই তা বলাই বাহুল্য। তাঁর প্রথম লক্ষ সফটওয়্যার কম্পানি খোলা।