গুরগাঁওয়ে রবিবার থমকে যায় ট্রাফিক
রবিবার ছুটির দিন। লংড্রাইভে বেরিয়ে গুরগাঁওয়ের রাস্তায় হঠাৎ আপনি ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে পড়লেন। ব্যাস, সাতসকালে ছুটির মজাটাই গেল... আসলে রাস্তা আটকে তখন অন্য মজায় ব্যস্ত ঐ শহরেরই একদল মানুষ। বরং বলা ভাল খেলায় ব্যস্ত।
Thursday August 20, 2015 , 2 min Read
রবিবার ছুটির দিন। লংড্রাইভে বেরিয়ে গুরগাঁওয়ের রাস্তায় হঠাৎ আপনি ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে পড়লেন। ব্যাস, সাতসকালে ছুটির মজাটাই গেল... আসলে রাস্তা আটকে তখন অন্য মজায় ব্যস্ত ঐ শহরেরই একদল মানুষ। বরং বলা ভাল খেলায় ব্যস্ত। সাইকেলিং, স্কেটিং থেকে ফুটবল, বাস্কেটবল, টেনিস। স জন্যে ধ্রুব সামিনি। উত্তরপ্রদেশের ছট্ট শহর চান্দসির ধ্রুব আইআইটি দিল্লির ছাত্রী। এমবিএ করেছেন INSEAD থেকে। ম্যাককিনসের প্রাক্তন কনসাল্টন্টের হাত ধরেই মার্কিন মুলুকের DUPLAYS সংস্থার ভারতীয় সংস্করণ। যার পশাকি নাম ওপেন স্ট্রিট। এ যেন ব্যস্ততার কর্পোরেট কালচার কাটিয়ে সপ্তাহের শেষ দিনে নিজের শরীরের দিকে একটু নজর দেওয়া। মন খুলে শৈশবের দিনে ফিরে যাওয়া। স্ট্রেস, প্রেসার, অ্যাঙ্কসাইটি থেকে ক্ষণিকের মুক্তি। খোলা রাস্তায়। কিন্তু রাস্তায় কেন। ট্রাফিক আটকে কেন। আসলে গুরগাঁও ..। ভারতের প্রগতিশীল শহর হলে ক্রীড়া সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ছিল না পরিকাঠামো.. আজ সেই শহরের ক্রীড়া সংস্কৃতিতে শ্রী ফিরে এসেছে ধ্রুব সামিনির হাত ধরে। কিন্তু কেমন করে..
এটা শুধু গুরগাঁওয়ের সমস্যা নয়। পরিকাঠামো গত এই সমস্যা গোটা ভারত জুড়ে। ম্যাককিনসে তে কাজ করার সময় উইকএন্ডে হঠাৎই একদিন বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধ্রুব বাস্কেটবল খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ঝড়ের বেগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ল সেই বাস্কেটবল কমিউনিটি গ্রুপ। তখনই পাশে পেলেন DUPLAYS কে .. ভারতে পথ চলা শুরু... তবে এত সহজ ছিল না। শুরুতে নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সরকারি কন সাহায্য মেলে নি। বেসরকারি স্কুল এবং বেসরকারি ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাত্রা শুরু ওপেন স্ট্রিটের। ভারতে এই অভিনব শরীরচর্চার সূচনা করে আজ গর্বিত ধ্রুব সামিনি। ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০০০ মানুষ যুক্ত হয়েছেন খেলার ছলে ছুটির দিনে অবসরে অবসাদ থেকে মুক্তির আনন্দ নিতে। সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান। ফুটবল,বাস্কেটবল, টেনিস, স্কয়াশের সঙ্গে সঙ্গে ওপেন স্ট্রিট কে জনপ্রিয় করতে এবার জুড়ে দেয়া হয়েছে ক্রিকেটকে। প্রাথমিকভাবে DUPLAYS র থেকে আর্থিক সাহায্য নিলে ক্রমেই সাবালক হচ্ছে ধ্রুব সামিনির প্রচেষ্টার ফসল।এই বিশাল কর্মকাণ্ডে ধ্রুব পাশে পেয়েছে সেই বাস্কেটবলের উদ্যোক্তা বন্ধু সবির দত্ত কে।