প্রতিভার বিকাশে শুভাশিসের IndUs Youniverse
স্কুলের গণ্ডি ছাড়িয়ে কলেজ, কিংবা কলেজের পড়া শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়। ভাল ছবি আঁকেন, বা ছবি তোলার শখ। কিংবা টুকটাক লেখার অভ্যাস রয়েছে, বা ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। নানা রঙিন স্বপ্ন ভিড় করে মনের আনাচে কানাচে। স্বপ্ন কখনও সত্যি হয়! সবাই বলে যে, স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। অনেকটা সেই কাপ আর ঠোঁটের দূরত্বের মত। আপনার মনের অন্দরের সেই টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো কিংবা আপনার সুপ্ত প্রতিভা বা ইচ্ছে গুলো যদি ডানা মেলে দিতে পারত? তাহলে কেমন হতো? ভাবছেন আজগুবি গল্প শোনাচ্ছি। না। আপনার ইচ্ছেগুলোকে নিয়ে আপনি স্বপ্ন দেখতে পারেন। স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে ফারাকটা দূর হচ্ছে। আপনার সুপ্ত প্রতিভা আর সৃজনশৈলী নিয়ে স্বপ্নগুলোকে প্রকাশে, প্রকাশ্যে দিশা দেখাচ্ছে ‘ইন্দাস ইউ-নিভার্স’। সৌজন্যে শুভাশিস চ্যাটার্জি।
এক বাঙালি উদ্যোগপতি। এফিসিয়েন্ট কজ স্ট্র্যাটেজিক কনটেন্ট এন্ড ফাউন্ডার ডিরেক্টর তথা কানেক্ট ইন্ডিয়ার সিইও শুভাশিস বাবু ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে হঠাৎই ভাবতে শুরু করেন, স্টুডেন্ট কমিউনিটি নিয়ে যদি একটা অনলাইন ক্রিয়েটিভ গ্রুপ ফর্ম করা যায়। তাহলে কেমন হয় ? তাঁর মনে হয়েছিল এদেশে প্রচুর ট্যালেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের গ্রুমিং দরকার। দরকার সঠিক দিশা। আসলে সঠিক পথ না পেয়ে অকালেই হারিয়ে যায় সেই সব ট্যালেন্ট। প্রতিভা থাকলেও, তা বিকাশের সুযোগ না পেয়ে আর প্রকাশ পায় না। তাদের একটা প্লাটফর্ম দরকার। যে প্লাটফর্মে শেষ ট্রেনের অপেক্ষা নয়, নয় মন কেমনের স্টেশন। শুভাশিস বাবুরটা স্বপ্নপূরণের স্টেশন। যেখানে প্লাটফর্ম আছে, আছে এগিয়ে যাওয়ার ট্র্যাক। যে ট্র্যাক ধরে গড়ে উঠবে আপনার কেরিয়ারও। ২০১৫ র সেপ্টেম্বর, আত্মপ্রকাশ করল INDUS YOUNIVERSE।
নামেই চমক। আপনি ভাবছেন ভুল স্পেলিং লিখেছি। একেবারেই না । ইউনিভার্সের স্পেলিংটা শুভাশিসবাবু এমনটাই করেছেন। ক্রিয়টিভ গ্রুপ বলে কথা, আর সেখানে একটু ক্রিয়েটিভিটির আলতো ছোঁয়া থাকবে না! তাই হয়! এই ইউনিভার্সের আপনিও একজন। তাই U এখানে YOU । আর INDUS এর মধ্যেই ইন্দো-মার্কিন (IND-US) যুগলবন্দি জুড়ে রয়েছে। ভারত এবং আমেরিকার পারস্পরিক মেলবন্ধনে ইন্দাস ইউ-নিভার্স এগিয়ে চলেছে। মার্কিন মুলুকে কি ভাবে জাল বিস্তার করল ‘ইন্দাস ইউ-নিভার্স ? এই প্রশ্নের উত্তরে শুভাশিস বাবুর জবাব, উত্তর কলকাতার ছেলে ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সায়ন্তন মিত্র অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ উস্টারে রিসার্চ করছেন। শুভাশিসের পরিচিত। বাড়ির পাশেই থাকতেন। মার্কিন মুলুকে এমনিতেই প্রচুর ভারতীয় উচ্চশিক্ষার জন্য যান। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই শুভাশিস-সায়ন্তন যুগলবন্দিতে ইন্দাস ইউ-নিভার্স। ভারত এবং আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশগুলিতে ‘ইন্দাস ইউ-নিভার্সের জাল বিস্তার করতে চান শুভাশিস–সায়ন্তনরা।
অনলাইন ক্রিয়েটিভ ফোরাম ‘ইন্দাস ইউ-নিভার্সে রয়েছে আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ফোটেগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, মুভি মেকিং আর আর্ট। আর্ট মানে পেইন্টিং, স্কেচ আর স্কাল্পচার। আর মুভি মেকিংয়ের মধ্যে পড়ছে ডকু, শর্ট ফিল্ম আর মোবাইল ভিডিও মেকিং। পাশাপাশি বিভিন্ন ফিল্ডের অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের দিয়েই তরুণ প্রজন্মের গ্রুমিংয়ের কাজ হয়। হাতে কলমে তাদের শেখানো হয়। কেমনভাবে ইন্দাস ইউ-নিভার্সের সদস্য হবেন? খুব সহজ।
বাৎসরিক পাঁচশো টাকার বিনিময়ে আপনি এর সদস্য হতে পারবেন। তারপর নিজের প্রতিভা বিকাশের সবকরমের সুযোগ সুবিধে আপনি পাবেন। অনলাইনে আপনার পেইন্টিং, স্কেচ কিংবা মোবাইল ভিডিও বিক্রির সুযোগ রযেছে। ফলে খুব সহজেই রুজি রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন শুভাশিসরা। আপনাকে শিখিয়ে পড়িয়ে সয়ম্ভর করে তুলছে এই অনলাইন ক্রিয়েটিভ ফোরাম। ভারতবর্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই রকম নানান অনলাইন ক্রিয়েটিভ ফোরাম। কিন্তু তাঁদের থেকে কেন আলাদা ইন্দাস ইউ-নিভার্স? প্রতিষ্ঠাতা শুভাশিস চ্যাটার্জি বলছেন, আমরা চর্চা করে বড়ো করি না শুধু, প্রতিভা আর সৃজনশৈলীর বিকাশ ঘটিয়ে তাকে সঠিক পথ দেখাই। বিশ্বায়নের বাজারে ওপেন মার্কেট তৈরি করাই এর অন্যতম প্রচেষ্টা। তাই ফেসবুক পেজে কমিউনিটির মেম্বার এখন প্রায় ১৮০০। প্রতিভাকে পাদপ্রদীপের আলোয় তুলে ধরতে চান শুভাশিস-সায়ন্তন যুগলবন্দী। সৃষ্টি, প্রতিভা, সৃজনশৈলীর ছোঁয়ায় পরতে পরতে স্বপ্নপূরণের পরশপাথর ইন্দাস ইউনিভার্স।