‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ - 24 ঘন্টা রক্তের সন্ধান
অস্ত্রোপচার ? দুর্ঘটনা ? রক্তের ক্যান্সার ? রক্তশূন্যতা ? হিমোফিলিয়া ? থ্যালাসেমিয়া ? ডেঙ্গু ? রক্তের প্রয়োজন ? শহরের ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে হন্যে হয়ে ঘুরেও মেলেনি একটু রক্ত ? আপনাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ । এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা না বলে, বলা ভাল লাইফ লাইন-রক্তের সংস্থান। রক্তের ঠিকানা। চব্বিশ ঘন্টা আপনার সেবায়। সময়ে অসময়ে এ শহরেই আপনাকে রক্তের সন্ধান দেবে ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ ।
শহরের সব হাসপাতালেই রয়েছে ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’-র ফোন নম্বর। যখন যে গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ওই নম্বরে ফোন করলেই রক্তদাতারা সশরীরে চলে যাবেন গন্তব্যে। ইতিমধ্যেই দশ হাজার ডোনার রয়েছেন বলে জানালেন প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দানিশ শেঠ। সেন্ট যোশেফ কলেজের তিন বন্ধু দানিশ শেঠ, গৌরব কাপুর ও প্রণব বেদী । তিন জনেই ব্যবসায়ী। দানিশের মার্বেল ও কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা। লেদারের ব্যবসা গৌরবের আর প্রণব বেদীর হোটেলের ব্যবসা। ব্যবসার বাইরে সমাজের জন্য মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে এলেন তিন বন্ধু। ২০১৪ সালে তৈরি করলেন রক্তের ঠিকানা। নাম দিলেন ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ । যার ট্যাগ লাইন জুড়ে দিলেন এভরি ড্রপ কাউন্টস। সত্যিই এক ফোঁটা রক্ত দুর্মূল্যই বটে। রক্তের অভাবে অকালে ঝরে যায় জীবন। রক্তের চাহিদা, রক্তের সঙ্কুলান ও রক্তের প্রয়োজন কেবল মানুষই মেটাতে পারে। জীবনের জন্য রক্তের বিকল্প রক্ত। বিকল্প মানুষ। আজ এ শহরে ব্লাড ব্যাঙ্কের বিকল্প ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’
শুধু শহর কলকাতায় নয়, গোটা বাংলায় রক্তের অভাব মেটাতে উদ্যোগী এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ২০১৮ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে জিরো ব্লাড ডেফিসিট করতে চায় ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’। একই সঙ্গে টার্গেট ২০১৮ র মধ্যে একশো পঞ্চাশ হাজার ডোনার তৈরি করা। রক্তের প্রয়োজনীয়তা, রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গত দু বছরে চল্লিশটিরও বেশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়েছে। ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’-র রক্তদান শিবিরের পোশাকি নাম সেলিব্রেশন অফ লাইফ। যা অন্যদের থেকে আলাদা। হাসিমুখে রক্তদান সঙ্গে ফেস্টিভ টাচ। বিনোদনের নানান আয়োজন।
‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ ইতিমধ্যেই ডোনারদের নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শহরের স্কুল কলেজগুলিতে অভিযান করেছে। সেখানে পড়ুয়াদের মধ্যে এই ভাবনার বিকাশ ঘটানো হচ্ছে। যাতে আঠারো বছর বয়স হলেই রক্তদানের মত মহৎ কাজে এগিয়ে আসে তারা। এই পদক্ষেপের নাম দেওয়া হয়েছে- মিশন এইট্টিন প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা। রয়েছে ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’ –র ফেসবুক পেজও। তার মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারেন । ফোন নম্বর নিয়ে রক্তের খোঁজ করতে পারেন। প্রাণ বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজনে চব্বিশ ঘন্টা আপনার পরিষেবায় ‘প্রোজেক্ট লাইফ ফোর্স’।