অ্যাপ-এ 'বর্ধমান গাইড' বানালেন ভূমিপুত্র প্রসেনজিত
বর্ধমান নিয়ে তথ্য ভিত্তিক অ্যাপস বানিয়েছেন পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার প্রসেনজিৎ হাজরা। অ্যাপস অনেকেই তৈরি করছেন। তবে প্রসেনজিৎ বাবুর ভাবনাটা একটু আলাদা। আঞ্চলিক তথ্য ভিত্তিক অ্যাপস তৈরিই তার লক্ষ্য। রীতিমত হাইপার লোকাল। প্রাথমিকভাবে তার লক্ষ্যে তিনি অনেকটাই সফল। অবশ্যই নিজের জেলাকে দিয়েই শুরু করেছেন কাজ। নাম দিয়েছেন Bardhaman Guide।
কি আছে এই অ্যাপস এ? – এটি একটি অফলাইন অ্যান্ড্রয়েট অ্যাপস। ট্রেন সময় সূচি থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর সবই পাওয়া যাবে। রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসক, সার্ভিস সেন্টার, নার্সিংহোম, ব্যাঙ্ক, রেস্টুরেন্ট এর ফোন নম্বর। এছাড়া রয়েছে প্রথম সারির সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ার লিঙ্কও রয়েছে। অফ লাইন অ্যাপস হওয়ায় ইন্টারনেট ছাড়াই সমস্ত তথ্য জানার সুবিধা রয়েছে। প্রতিদিনই আপডেট হচ্ছে প্রসেনজিৎ বাবুর বর্ধমান গাইড। শহর বর্ধমান দিয়ে শুরু হলেও জেলার প্রতিটি সাব ডিভিশনে তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরার প্রক্রিয়া চলছে।
ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করার। তাই গ্রাজুয়েশনের পর লক্ষৌতে এম সি এ কমপ্লিট করে শুরু করেন নতুন নতুন সফটওয়ার তৈরির কাজ। প্রথমে বর্ধমান ইনফো মিডিয়া নামে একটি সংস্থা তৈরি করলেন। বর্ধমান খোসবাগান এলাকায় অফিস করে সেখানেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। ২০০২ সালে প্রথম চমক দিলেন। শেহারাবাজারের প্রত্যন্ত গ্রামের এই ছেলেটা নিজের প্রতিভার পরিচয় দিলেন। তৈরি করলেন bardhaman.com নামে একটি নিউজ পোর্টাল। এখন নিউজ পোর্টালের রমরমা হলেও সেই সময় এই কনসেপ্ট সকলকে অবাক করেছিল। জনপ্রিয় এই পোর্টালকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ বাবু। সারাক্ষণ ব্যাস্ত থাকেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইড তৈরিতে। এরই মাঝে নতুন কিছু করার ভাবনা ছিল। কয়েক মাসের চেষ্টায় Bardhaman Guide নামে স্মার্ট ফোনের অ্যাপস। নিজের জেলা দিয়ে শুরু করলেও, এরপর প্রত্যেকটি জেলা নিয়ে তথ্য ভিত্তিক অ্যাপস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে গেমস নিয়ে অ্যাপস তৈরির।
লক্ষ্যে স্থির থাকলে সাফল্য অসম্ভাবি তা প্রমাণ করেছেন প্রসেনজিৎ বাবু। তাইতো এম সি এ পাশ করার পর, মোটা মাইনের চাকরির অফার ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন। নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে তার ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে অবিচল থেকেছিলেন। আর তা করেও দেখিয়েছেন। আগামী দিনে তথ্য প্রযুক্তির মার্কেটে নিজেকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন প্রসেনজিৎ হাজরা।