Brands
Discover
Events
Newsletter
More

Follow Us

twitterfacebookinstagramyoutube
Youtstory

Brands

Resources

Stories

General

In-Depth

Announcement

Reports

News

Funding

Startup Sectors

Women in tech

Sportstech

Agritech

E-Commerce

Education

Lifestyle

Entertainment

Art & Culture

Travel & Leisure

Curtain Raiser

Wine and Food

YSTV

ADVERTISEMENT
Advertise with us

কলকাতার গৌরবের টিউটর সার্কেল

কলকাতার গৌরবের টিউটর সার্কেল

Thursday January 28, 2016 , 3 min Read

বিদেশে পড়ার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। কিন্তু অধিকংশের সাধ্য থাকে না। সাধ্য থাকলেও ঠিকঠাক খোঁজ খবরই পান না এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। এই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এত বেশি তথ্য ভন ভন করে যে সঠিক খবরটাই হয়ত মিস করে যাই আমরা। এই সমস্যার সমাধান করছে কলকাতার স্টার্টআপ টিউটর সার্কেল।

image


২০১১ সালে শুরু হয় এই সংস্থা। এজেসি বোস রোডে হেড অফিস। প্রতিষ্ঠাতা কলকাতার ছেলে গৌরব সুরানা। বুটস্ট্র্যাপিংয়ের দিনগুলোয় ওর স্বপ্ন ছিল কলকাতার মেধাবী প্রজন্মকে আরও ভালো ভবিষ্যত উপহার দেওয়া। তাই তৈরি করেন এই বুটিক এডুকেশান কনসালটেন্সি ফার্ম। যারা মূলত বিদেশে পড়াশোনা ও কেরিয়ার তৈরির করতে চান এমন ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করে এই সংস্থা। গৌরব নিজে মিচিগান ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েট। TC প্রতি বছর পাঁচশরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার বন্দবস্ত করে দেয়।

২০১৪-য় টিউটর সার্কেল শুরু করে তাঁদের নতুন ভেঞ্চার BONDS। মূলত বিদেশে পড়তে যেতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের GMAT, GRE, SAT, IELTS এর মত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়।

২০১৫-য় তাঁদের সংস্থা থেকে মোট ১২৪ জন ছাত্রকে নানা কোর্স ও প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে টিউটর সার্কেল। এদের মধ্যে ৬৪ জন ছাত্র নিজেদের পছন্দের দেশ হিসাবে জার্মানিকে বেছে নিয়েছেন। জার্মানিকে বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ হল এই দেশে পড়াশুনোর খরচ ইংল্যান্ড বা আমেরিকার ইনস্টিটিউটগুলির থেকে কম। এইসব ছাত্ররা মূলত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রোবোটিক্সের মত বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশুনো করতে বিদেশে গিয়ে থাকেন।

বাকিদের মধ্যে প্রায় ৪০% ছাত্রছাত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকিরা ইংল্যান্ডকে নিজেদের পছন্দের জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তবে গত দু’বছরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আয়ারল্যান্ডও বিশেষ ভাবে নজর কাড়ছে।

TC এর সবচেয়ে বড় ইউএসপি যা সংস্থাটিকে অন্য বড় খেলোয়াড়দের থেকে আলাদা করতে পেরেছে তা হল এই সংস্থার টিমে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনিরা রয়েছেন। তাঁরা নিজেরা এই সমস্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন এবং তার ফলে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের বিদেশের সাম্ভাব্য নানা খুঁটিনাটির ব্যাপারে নিজস্ব ‘ফার্স্ট হ্যান্ড’ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। পাশাপাশি BONDS ও চলছে রমরমিয়ে।

এখন যেহেতু GMAT, GRE, SAT, IELTS এই সমস্ত পরীক্ষার অধিকাংশই ইউএসএ-এর হাইস্কুল ও কলেজ পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে হয়ে থাকে, ফলে TC তে নিযুক্ত শিক্ষকরা তাঁদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, অনলস পরিশ্রম দিয়ে এই পরীক্ষাগুলি ক্র্যাক করার স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন এবং সেই ফর্মুলা ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেন। ছাত্রছাত্রীরাও একগুচ্ছ মক টেস্টের মধ্যে দিয়ে নিজেদের স্কিলকে আরও ক্ষুরধার করে তোলেন। এক একটি ক্লাসে ৬ জন করে ছাত্রছাত্রী থাকে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের শিক্ষকদের কাছ থেকে একক ভাবে বেশী সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এখানকার শিক্ষকরা সকলেই আই আই টি এর প্রাক্তন ছাত্র বা শিক্ষক যাদের বিষয়গুলির উপর বিশেষ দখল রয়েছে। ফলে TC তে স্ট্যাট বা জ্যামিতি বা বীজগণিতের মত প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা নিয়োজিত শিক্ষক রয়েছেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল অন্যান্য টেস্ট প্রেপ সংস্থার থেকে TC তে এই কোর্সগুলির জন্য খরচ প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কম। 

এখানেই শেষ নয়। গৌরবের পরের প্রোজেক্ট ICudB ইন্টারন্যাশানাল কলেজেস অ্যান্ড ইউনিভার্সিটিস ডেটা বেসএর অ্যাব্রিভিয়েশন। ইন্টারনেটেই পাওয়া যাবে বিদেশের ইনস্টিটিউটগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য। তবে কীভাবে পাওয়া যাবে... সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।