রতন টাটা চালাবেন সুরেশ প্রভুর স্টার্টআপ ট্রেন

রতন টাটা চালাবেন সুরেশ প্রভুর স্টার্টআপ ট্রেন

Thursday February 25, 2016,

2 min Read

স্টার্টআপদের জন্যে সুখবর। রেল বাজেটে ৫০ কোটি টাকার অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। নাম দিয়েছেন নবরচনা। প্রতিবছর বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পে স্টার্টআপ সংস্থা গুলি এই অনুদান পেতে পারবে বলে রেল বাজেটে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রভু। এতদিন রেল বাজেটের দিকে নজর থাকত প্রধানত তিনটি কারণে। আপামর জনতা দেখতে চাইত ১) রেলে টিকিটের ভাড়া বাড়ল কিনা, ২) নতুন ট্রেন পেলাম কিনা, আর ৩) যাত্রী পরিষেবায় কী রদবদল হল।

image


এবারের রেল বাজেটে বাড়তি আকর্ষণ ছিল স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার নিরীখে কী করেন সুরেশ প্রভু। দেখা গেল প্রভুর স্টার্টআপ ট্রেন দারুণ গতিতে ছুটছে। 

একশটি স্টেশনে ওয়াইফাই দিয়েছেন। আগামী দুটি অর্থবর্ষে সংখ্যাটা হবে ৪০০ স্টেশন। গুগলের সঙ্গে গাঁটছরা বেঁধে এই কাজটি করছে ভারতীয় রেল। এতে বিজনেসের কারণে যারা যাতায়াত করেন তাঁরা উপকৃত হবেন। উপকৃত হবেন যুবক যুবতী এবং ছাত্র ছাত্রীরাও। পাশাপাশি উদ্যোগপতিদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আরও বেশি করে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন রেলমন্ত্রী। ছোট ও মাঝারি মাপের সংস্থা বা নতুন স্টার্টআপদের জন্যেও নতুন কাজের অবকাশ করে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রায় ৫০ কোটি টাকার একটি রাশি তাঁরা সরিয়ে রাখছেন শুধু মাত্র সেই সব স্টার্টআপ সংস্থাগুলির জন্যে যাঁদের উদ্ভাবন দিয়ে রেলের কর্মকুশলতা বাড়বে। রেল মন্ত্রকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে স্টার্টআপ সংস্থাগুলি। এখন থেকে প্রতিবছরই এই ধরণের ফান্ড উদ্ভাবন বা ইনোভেশনের ক্ষেত্রে জড়িয়ে থাকা স্টার্টআপকে উপকৃত করবে। সেক্ষেত্রে প্ৰভুর শর্ত, রেলের মৌলিক কঠিন সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সেই সমাধানের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারলেই এই ফান্ড পাওয়া যাবে। এর জন্যে ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের মত প্রতিযোগিতারও ব্যবস্থা করা হবে। বিজেতারাই পাবে বরাত। এই উদ্যোগের তত্ত্বাবধান করবে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। তাকে বলা হবে ইনোভেশন কমিটি। সেই কমিটিতে থাকবেন নামজাদা বিনিয়োগকারী, ভারতীয় রেলের জাতীয় আকাডেমি রেলবোর্ড এবং কায়াকল্পের প্রতিনিধিরা। এই কমিটির প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন রতন টাটা। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে খুব শিগগিরই একটি প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাক্‌চারও তৈরি করা হবে।

এ বছরের জন্যে যে সমস্যাগুলিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল:-

১. নিচু প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠানামার সমস্যা

২. কোচ গুলির ক্যাপাসিটি বা ক্ষমতা বাড়ানো সংক্রান্ত বিষয

৩. স্টেশনগুলি ডিজিটাল ক্যাপাবিলিটি বা বৈদ্যুতিন ক্ষমতায়ন ঘটানোর মত বিষয়

পাশাপাশি রেলমন্ত্রক স্থির করেছে রেলের সবগুলি ওয়ার্কশপে ইনোভেশন ল্যাব গঠন করা হবে। এবং সেই কাজে হাত লাগাবেন স্থানীয় উদ্যোগপতিরা এবং রেলের কর্মীরা।