Brands
Discover
Events
Newsletter
More

Follow Us

twitterfacebookinstagramyoutube
Bangla

Brands

Resources

Stories

General

In-Depth

Announcement

Reports

News

Funding

Startup Sectors

Women in tech

Sportstech

Agritech

E-Commerce

Education

Lifestyle

Entertainment

Art & Culture

Travel & Leisure

Curtain Raiser

Wine and Food

YSTV

অধরা মাধুরীকে ছুঁতে চান ক্রিকেটার ঝুলন

অধরা মাধুরীকে ছুঁতে চান ক্রিকেটার ঝুলন

Saturday May 07, 2016,

2 min Read

ফোর জি না হোক টু জি তো আছে। উন্নয়ন তো হচ্ছে। ভারতে মহিলা ক্রিকেটের উন্নয়ন নিয়ে এভাবেই পজিটিভ ঝুলন গোস্বামী। বাঙালি মেয়ে ক্রিকেট খেলেন, তাও আবার ফাস্টবোলার। শুধু তাই নয়, বিশ্বমঞ্চে দুই বাঙালি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন এক বেহালার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অন্যজন চাকদার ঝুলন গোস্বামী। কী পেলেন না তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন, কীভাবে নিজের যোগ্যতায় সেটা পাওয়া যায় তাতেই তাঁর ফোকাস। বারেবারেই তুলনাটা সামনে আসে।যেখানে ছেলেদের ক্রিকেটের পিছনে এত ইনভেস্টেমন্ট, এত পাবলিসিটি, এত গ্ল্যামার এত স্বাচ্ছন্দ্য সেখানে মেয়েদের ক্রিকেট এখনও কোথায় পড়ে রয়েছ। কিন্ত জীবনকে একদম অন্য চোখে দেখেন ঝুলন। ২০০৭ সালে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে এক হয়ে যায়। যেখানে নিউজিল্যান্ডে এটা ঘটেছে ৯২-৯৩ সালে, অস্ট্রেলিয়ায় হয়েছে ২০০১-০২ সালে। এতদিন বাদে সেটা ভারতে হয়েছে। সেই জায়গা থেকে একটা বড় গ্যাপ রয়েছে। জীবনে ম্যাজিক ঘটে না ম্যাজিক ঘটাতে হয়। এই বিশ্বাস নিয়েই ছোট থেকে কাজ করে যাচ্ছেন ঝুলন।

image


পরিবার থেকেই খেলার প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়েছ। ৯২ এর বিশ্বকাপ দেখতে দেখতে ক্রিকেটের প্রতি তীব্র প্যাশন তৈরি হয়। পাড়ায় পাড়ায় ক্রিকেট খেলে বেড়ানো-শুরুটা সেখান থেকেই। ১৯৯৭ সালে কোচ স্বপন সাধুর হাত ধরে বিবেকানন্দ পার্কে এসে প্রপার কোচিং শুরু। অনেকটা সময় ‌যাতায়াতেই চলে যেত। কিন্তু কিশোরী ঝুলন কোনওদিনই ঘ্যানঘ্যান করতে ভালোবাসতেন না। সব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে এগিয়ে ‌যাওয়াই তাঁর বৈশিষ্ট্য। ২০০০ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে সুযোগ আসে। সেবছরই বেঙ্গল সিনিয়র। এয়ারইন্ডিয়ায় চাকরি। তারপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। ২০০২ সালে এল সেই সুযোগ যার জন্য প্রতিটি ক্রিকেটার স্বপ্ন দেখে। জাতীয় দলে ঢুকে যাওয়ার সুযোগ। এরপর একটানা ছ'বছর মূলত মুম্বইতেই থাকতেন। ২০০৯ সাল ভারত অধিনয়াক নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে নির্বাচিত হন আইসিসি-র মহিলাদের মধ্যে বর্ষসেরা ক্রিকেটার।

পেশাদার হিসেবে সাফল্যের তালিকা ‌যাকে বলে তা বেশ উপচেই পড়ছে ঝুলনের। তবু আক্ষেপ একটা আছে তিনটি পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ ও ৫ টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন ঝুলন। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি এখনও একবারও ছুঁয়ে দেখা হয়নি। সেই অধরা মাধুরীকে ছুঁয়ে দেখতে চান ঝুলন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফাস্টবোলার হিসেবে এতবছর টিকে থাকার মূল মন্ত্র স্কিলের পাশাপাশি প্র্যাকটিশ-প্র্যাকটিশ অ্যান্ড মোর প্র্যাকটিশ।

সামাজিক কিছু বাধা এখনও আছে। ঝুলন জানেন কিন্তু এও বিশ্বাস করেন যে সেটা বদলাচ্ছে। যিনি দিন বদলের কান্ডারী তিনি তো পজিটিভ ভবিষ্যত দেখতে পাবেন। বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশান থেকে শুরু করে বিসিসআই সব অ্যাসোসিয়াশানেই এই মুহূর্তে মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি-র জন্য নানারকম পরিকল্পনা নিচ্ছেন তিনি। সেই রাস্তায় গেলে টু জি থেকে থ্রি জি হয়ে –ফোর জি হবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট। পজিটিভ থিঙ্কিংয়ে বিশ্বাসী মানুষদের পছন্দ করেন এই নারী।