Brands
Discover
Events
Newsletter
More

Follow Us

twitterfacebookinstagramyoutube
Youtstory

Brands

Resources

Stories

General

In-Depth

Announcement

Reports

News

Funding

Startup Sectors

Women in tech

Sportstech

Agritech

E-Commerce

Education

Lifestyle

Entertainment

Art & Culture

Travel & Leisure

Curtain Raiser

Wine and Food

YSTV

ADVERTISEMENT
Advertise with us

লোকের বাড়ি কাজ করে ছেলেকে মানুষ করেছেন লক্ষ্মীবাই

লোকের বাড়ি কাজ করে ছেলেকে মানুষ করেছেন লক্ষ্মীবাই

Monday August 22, 2016 , 2 min Read

বাবা মায়ের থেকে পাওয়া সংস্কারের জন্যেই কিষণ ছোটবেলা থেকেই অন্না হয়ে গিয়েছিলেন। অন্না মানে দাদা। অন্না হাজারে সাদামাঠা জীবন যাপন করতে ভালোবাসতেন। তাঁর খাওয়া দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ, কাজ কর্ম সবই অনাড়ম্বর। কোনও লোক দেখানো জাঁকজমক কোনও কালেই ছিল না। সাদা ধুতি কুর্তাই তাঁর নিজস্ব পরিচিতি। আর হ্যাঁ মাথায় ওই মর্যাদার গান্ধি টুপিটা ছাড়া অন্নাকে তো চেনাই দায়। শুদ্ধ নিরামিষাশী। কখনও কোনও নেশা করেননি। মানুষের সাহায্যে সব সময় এগিয়ে থেকেছেন। অন্নার সব কাজেই ওর মা বাবার প্রভাবের ছাপ আছে। 

অন্নার মতে মা তাঁকে মাস্টার মশাইয়ের পিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে মিথ্যে বলে ছিলেন ঠিকই স্কুলে তাঁকে অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়েও এমন শিক্ষা দিয়েছিলেন যে তার পর আর কখনও মিথ্যে কথা বলার সাহস পাননি অন্না। প্রবৃত্তিতেই আসেনি মিথ্যের আশ্রয় নেওয়ার ভাবনা। একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্না বলছিলেন, ছোটবেলা থেকেই মায়ের শিক্ষা পেয়েছিলেন অন্না। মা বলতেন, কারও খারাপ করার কথা কখনও কল্পনাও করবে না। কখনও কারও জিনিস চুরি করবে না। কারও সঙ্গে ঝগড়া করবে না। উপরন্তু পারলে সমাজের জন্যে ভালো কিছু কোরো। মা লক্ষ্মীবাইয়ের দেওয়া সেই শিক্ষা কখনও ভোলেননি অন্না হাজারে। মা শিখিয়েছিলেন দুঃখী মানুষের জন্যে বেশি কিছু না করতে পারলেও যেটুকু তোমার সাধ্যে কুলবে সেটুকুই কোরো। কিন্তু সমাজের জন্যে কিছু কোরো। মা তার মনকে সামাজিক মনে বদলে দিয়েছিলেন। অন্নার পরিবার গরিব ছিল। অন্নাও সেই দারিদ্র দেখেছেন। ঘর চালাতে, স্বামীকে সাহায্য করতে লোকের বাড়ি বাসন মাজার কাজ করেছেন অন্নার মা। 

অন্না বলছেন “আমার মার কাছে পয়সা ছিল না। বড়লোক তো ছিলেনই না কিন্তু। কিন্তু মজবুত একটা ব্যক্তিত্ব ছিল। একটা আদর্শ চরিত্র ছিল।”

বাবা বাবুরাওয়ের প্রভাবও ছিল গভীর। কারণ বাবাকে ছোটবেলা থেকে দেখে দেখেই বড় হয়েছেন অন্না। বাবা রাত দিন এক করে জীবন-যুদ্ধের লড়াই করতেন। অকথ্য পরিশ্রম করতেন। সেটাই অনুকরণ করতেন অন্না। পরিশ্রমী হওয়ার প্রেরণা বাবার কাছ থেকেই পেয়েছেন তিনি।

অন্না বলছেন, “আমার বাবা ভীষণই সিম্পল ছিলেন। সিধে সাদা লোক। কখনও নেশা করেননি। কখনও মিথ্যে বলেননি। কখনও কারও সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। এসব দেখেই জীবনের রাস্তাটা স্থির করেছি। বাবা খুব পড়াশুনো জানতেন না। কিন্তু জীবনের শিক্ষায় অনেকের থেকে বেশি শিক্ষিত ছিলেন। আমি সকাল সন্ধে ওনাকে দেখতাম। কী খাচ্ছেন, কী পরছেন, কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন, কীভাবে চলছেন, পাড়া প্রতিবেশী বন্ধু বান্ধবদের কী বলছেন, এই সবই আমি মন দিয়ে দেখতাম আর শিখতাম।”

অন্না বলছেন, আজকাল বহু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের বিভিন্ন সংস্কার কেন্দ্রে পাঠান ভালো সংস্কারের জন্যে। কিন্তু আসল সংস্কার সুশিক্ষা তো বাবা মায়ের কাছ থেকেই পায় শিশুরা। ফলে অন্নার অনুরোধ প্রত্যেকটি ঘর হোক সংস্কার কেন্দ্র।