সোশ্যাল মিডিয়ার অজানা দিকটিই তুলে ধরবে 'সোশ্যাল ক্রীড়া'
সোশ্যাল মিডিয়া। এটা এমন একটা শব্দ যা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। অথচ অধিকাংশ মানুষের কাছেই সোশ্যাল মিডিয়া কেবলমাত্র একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার একটা মাধ্যম। এই সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার এবং একে গঠনমূলক কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল পিএসএস এন্টারটেইনমেন্টস এবং পিআরএসআই, কলকাতা চ্যাপ্টার।
এ শহরের ডিজিটাল মিডিয়া এজেন্সিগুলির মধ্যে অন্যতম, দুই নবীন উদ্যোগপতি অনিমেষ (শুভ) গাঙ্গুলি এবং সৌম্য সরকারের পিএসএস এন্টারটেইনমেন্টস। টালিগঞ্জের সকলের কাছেই এই মাণিকজোড় সৌম্য এবং শুভ বলেই পরিচিত। তাঁদের সংস্থার বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর হলেও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তা ইতিমধ্যেই পরিচিত নাম। সেই সঙ্গে কর্পোরেট, হেল্থ, স্পোর্টস, হোটেল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নামকরা সব সংস্থার ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। এই পিএসএস -এরই নতুন উদ্যোগ 'সোশ্যাল ক্রীড়া'। সম্প্রতি আইসিসিআর-এ অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় এবং পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এই উদ্যোগের শুভ সূচনা করলেন। তরুণ দুই উদ্যোগপতির নয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দুজনেই।
মার্কেটিং এবং কমিউনেকশন, অর্থাৎ বাণিজ্য এবং যোগাযোগ এই দুটি বিষয়কে এক ছাদের তলায় নিয়ে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া। আজকের দিনে এটি ছেলেমেয়েদের জন্য অন্যতম একটি কেরিয়ার অপশনও বটে। কোনও সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে, ফিল্মের প্রোমোশন, সব সংস্থারই একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া টিম। অথচ এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও এই পুরো বিষয়টাকে ঠিক কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে অনেকেরই ধারনা স্পষ্ট নয়। সেই জায়গা থেকেই সৌম্য এবং শুভ-র এই উদ্যোগ। এঁদের সঙ্গে এই ভাবনার বাস্তবায়নের পুরোভাগে ছিলেন পাবলিক রিলেশনস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া - কলকাতা চ্যপ্টারের চেয়ারম্যান শ্রী সৌম্যজিৎ মহাপাত্র। ছবি তুলে পোস্ট করা, বন্ধুত্ব পাতানো বা তাদের সঙ্গে চ্যাটিং ছাড়াও যে আরও নানা ভাবে নিজেকে এই মাধ্যমে গঠনমূলক কাজে যুক্ত রাখা যায় সেই বার্তাই এবার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে এই উদ্যোগ। সোশ্যাল মিডিয়াকেই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে আয়োজন করা হবে নানা ইভেন্টের। নানারকম ব্রেন গেমস এবং ক্যুইজের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারই ঝলক দেখতে পেলেন উপস্থিত সকলে। সঠিক উত্তরদাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আবির চট্টোপাধ্যায় এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌম্যজিৎ মহাপাত্র জানান,
"আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া এখন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ এবং আমাদের জীবনে এর প্রভাব আমরা কখনওই অস্বীকার করতে পারি না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমই আমাদের ভবিষ্যৎ। কোনও একদিন এক কাপ চা খেতে খেতে এই আলোচনাই করেছিলাম পিএসএস এর দুই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে। সেইদিনের সেই আলোচনাকে আজ বাস্তবায়িত হতে দেখে আমার ভালো লাগছে।"
সৌম্য এবং শুভ দুজনেই জানালেন, এধরনের একটা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরে তাঁরা আপ্লুত। মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে তাঁরা আরও বেশ কিছু উদ্যোগের কথা ভাবছেন। "এই পরিকল্পনার কথা মহাপাত্রবাবুর কাছ থেকে শোনার পর আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই উদ্যোগ সফল হবে। সেই কারণেই আমরা পিছিয়ে যাই নি। তারই ফলস্বরূপ যাত্রা শুরু করল সোশ্যাল ক্রীড়া।" সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির প্রোমোশনের কাজের সূত্রেই আবির এবং সৃজিত দুজনের সঙ্গেই পরিচয় হয়েছিল শুভ, সৌম্যদের। নিজেদের নতুন উদ্যোগের পথচলা শুরু করার সময় এমন দুজনকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। অভিনব এই উদ্যোগকে ইওর স্টোরির পক্ষ থেকেও সাধুবাদ।